শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
দুর্নীতিতে ডুবে আছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তনের ডিডি হারুন অর রশিদ

দুর্নীতিতে ডুবে আছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তনের ডিডি হারুন অর রশিদ

সেলিম সরকার : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) হারুন অর রশিদ যোগদানের পর থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম ও স্টাফদের মানসিক অত্যাচার জেলার প্রতি উপজেলায় ০১টি ব্যাচে ০১টি ক্লাস ১০০০/= টাকা করে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে কিন্তু তিনি প্রতি উপজেলায় প্রতিব্যাচে (৭দিনের) ০২টি করে ক্লাস ২০০০/= টাকা জোর করে উপজেলা হতে অগ্রিম আদায় করছেন। তিনি অতিরিক্ত (১৩ উপজেলায় ১৬ব্যাচ (২০০০) = ৪১,৬০০০/= টাকা তার চিকিৎসার কথা বলে অগ্রিম অবৈধ ভাবে গ্রহন করেছেন। উপজেলায় ভ্রমন করলে তাকে খাওয়া ও সম্মানি বাবদ প্রতি উপজেলায় দশ হাজার টাকা সালামী দিতে হত,গাড়ীর তেল খরচ দিতে হয়, যে কোন উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তার সত্যতা পাওয়া যাবে।

জেলায় প্রতিটি সমন্বয় সভায় প্রতি উপজেলা মাসে দশ হাজার টাকা আপ্যায়ন বিল দিতে হয়। ডিডি হারুন অর রশিদ ভূয়া প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে একই প্রশিক্ষণার্থীকে একাধিক প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি করিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, ডাটাবেজ প্রশিক্ষণ কোর্স একটি হাইলেভেলের প্রশিক্ষণ কোর্স হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের/কলেজের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক ছাড়া সাধারন ভূয়া প্রশিক্ষক দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে, হস্তশিল্প, বিউটিপারলার, সোলার ইত্যাদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষকদের নামে মাত্র সম্মানি প্রদান করে সিংহ ভাগ সম্মানি ভাতা আত্মসাৎ এবং ভাতা গ্রহনকারী প্রশিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে (প্রশিক্ষক পোষাক/ কম্পিউটার/ ইলেকট্রনিক্টস/আরএসি)। ভাতা প্রদান করা হয় এমন সকল প্রশিক্ষনে ডিডি হারুন উর রশিদ ঘুষ ছাড়া ছাত্র ভর্তি করেন না।

 

ডিডি হারুন অর রশিদ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখান, হয়রানি করেন,গালিগালাজ বকাবকি করেন এবং নারী উদ্যোক্তা/প্রশিক্ষণার্থীকে ও নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসভ্য ব্যবহার, অশালিন ও ইভটিজিং করার চেস্টা করেন। যা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন/অর্থ/ঋণ) এ বিষয় অবহিত আছেন এবং তাকে বার বার সতর্ক করা হয় । জাতীয় যুব দিবস/২০২৩ উযাপন উপলক্ষে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ে করছেন যুব উদ্যেক্তা, যুব সংগঠন,সফল আত্মকর্মী ও ঋণীদের নিকট হতে।

এ ছাড়াও তিনি নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে চাঁদা আদায় করছেন। যা ডিডি হারুন অর রশিদের কারণে এ জেলার ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। জেলার প্রশিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে তার বাসায় বিভিন্ন কাজে বাজার করা /রান্নাকরে দেওয়া ইত্যাদি জঘন্য কাজ করাচ্ছে/কাজ করতে বাধ্য করছেন নইলে এসিআর খারাপ দিবে এমন হুমকি দেন। কথিত আছে একজন সহকারী প্রশিক্ষক (পোষাক) তাকে বাসায় নিয়মিত রান্না করে দিতে হয়। বাসায় পরিস্কার করে দিয়ে আসতে হয়। তাকে ভুয়ার মত খাটাচ্ছে এ বিষয়টি অফিসের সকলের জানা। অভিযোগ আছে, ডিডি হারুন অর রশিদ বদলীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের লিপ্ত যা আছে। ঘুষ ছাড়া কোন টি এ বিল,শ্রামিত্ম বিনোদন পেনশনভাতা ছুটি,শুদ্ধাচার ইত্যাদি মনঞ্জুর করেন না। ভুক্তভোগিরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এ জালিম/অর্থলোভী কর্মকর্তা বিদায় হোক। অফিসের সকল ভূয়া কেনাকাটা বিল ভাউচার অফিসের একজন গার্ডের মাধ্যমে করা হয়। বিলের লেখা পরীক্ষা করলে সকল তথ্য বের হয়ে আসবে। জানাযায় তিনি পূর্ববর্তী কর্মস্থল শেরপুর/ নেত্রকোনা জেলায় কর্মকালীন কিছু দূর্নীতি নমুনা তুলে ধরছি।

 

শেরপুর জেলা থাকাকালে ডিডি হারুনের যত অপকর্ম:
জেলার জেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী চালু হওয়ার সাথে সাথে তিনি টাঙ্গাইল জেলা হতে শেরপুর জেলায় বদলী হয়ে এসেই ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর আওতায় সদর,নকলা ও শ্রীবদী উপজেলায় কর্মসূচী শুরু হলে অবৈধ ভাবে ভূয়া ও নীতিমালা পরিপন্থি প্রশিক্ষণার্থী বাছাই, ভূয়া প্রশিক্ষণ দেখিয়ে ভূয়া সংযুক্তি দেখিয়ে এবং নিজে তিনহাজার টি(৩০০০) ভূয়া ক্লাস দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করিয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় ন্যাশনাল কর্মসূচী অনিয়মের দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকলেও রহস্য জনক ভাবে শেরপুর জেলায় ন্যাশনাল সার্ভিসের অনিয়মের বিষয়টি পেপার পত্রিকায় ব্যাপক ভাবে প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারণে শেরপুর ও জামালপুর জেলায় তদন্ত কার্যক্রমে বাধা সৃস্টি করাচ্ছেন এ কর্মকর্তা।

 

শেরপুর যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রেন মেরামত বাবদ ২৬ লক্ষ টাকা তৈরী না করেই ডিডি হারুন আত্মসাৎ করেছেন। যা দুদক তদন্ত করতে চেয়েছিল। শেরপুর বাজেট বহিভূর্তভাবে আইবাস ++ অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ পায় যা উত্তোলন করে অর্থ শাখার সাথে অর্থ ভাগাভাগি করে নেন। একই কায়দায় প্রশিক্ষণ প্রদান না করেই জেলা কার্যালয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কে এই হারুন। হারুন অর রশিদ মুলত একজন সহকারী পরিচালক তিনি এ কার্যালয় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে থাকার জন্য সবসময়ে উপ-পরিচালকদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল, হয়রানি, অসদাচারন করা, স্থানীয় নেতাদের দ্বারা ভয় দেখান ছিল তার কাজ এবং তিনি এ কাজে সফল হয়েছেন।

কথিত আছে, ময়মনসিংহ জেলার হারুন অর রশিদ একজন উপপরিচালককে বদলী করে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পান। তারপর পর পর ০২জন উপপরিচালককে মানসিক নির্যাতন করে, শারীরিক ভাবে আঘাত করে এবং তারা মনের কন্ঠে মারা যান। তারপর ভারপ্রাপ্ত আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা দায়িত্ব পান তিনি। সে থেকেই তিনি দুনীতি ও স্বেচ্ছাচারীতা করে স্বপ্নচুড়ায় উঠে যায়। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারন মানুষ। তিনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তির ৭০ হাজার টাকা জমা না দিয়ে বদলী হয়ে টাঙ্গাইল জেলায় চলে যান, নালিতাবাড়ির উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সরকারি মটর সাইকেলটি তিনি ব্যক্তিগত কাজে চার বছর ব্যবহার করেছে ইহাতে সরকারি কাজে ব্যঘাত সৃস্টি হয়েছে, আরএসসি প্রশিক্ষণ সেন্টারের দুটি ডীপ ফ্রিজ ও দুটি সাধারন ফ্রিজ তার বাসায় ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করেছেন তার কর্মকালীন সময় সরকারি কাজে ব্যতয় ঘটিয়ে এ ব্যাপারে ফরহাদ প্রশিক্ষক কম্পিউটার কিশোরগঞ্জ, সহকারী প্রশিক্ষক আরএসি তাহের উদ্দিন,শেরপুর এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, হালুয়াঘাট ময়মনসিংহ কে জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।

 

নেত্রকোনা জেলা :
নেত্রকোনা জেলায় অবৈধভাবে জৈষ্ঠ্যতা তালিকা লঙ্গন করে এবং পদন্নোতি নীতিমালা না মেনে শুধু মাত্র লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের মাধ্যমে তিনি সহ (ডিডি নুরুজ্জামান চৌধুরী,মিজান সহ) উপপরিচালক পদে পদন্নোতি পেয়ে নেত্রকোনায় পদায়ন পান। এখানে এসেই আবার আগের চরিত্র আইবাস ++ তার পরিচিত বন্ধু একসাথে চাকুরি ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত বরখাস্তগন হলেন- উপপরিচালক আলী আশরাফ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফারহাত নূর, সহকারী পরিচালক ফজলুল হক, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজহারুল কবির ও আবুল কালাম আজাদ, হিসাবরক্ষক নুরুল আমিন, অফিস সহকারী বাবুল পাটোয়ারী ও জসিম উদ্দিন, অ্যাকাউন্টস অফিসার কামাল হোসেন ও অডিটর ইকবাল মুন্সি।

 

নেত্রকোনায় থাকা কালিন স্পেশাল প্রশিক্ষণের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ করা হয়েছিল কিন্তু তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয় নাই তাকে পুরস্কৃত করা হয়। তিনি বলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও যুব মন্ত্রণালয় দুদক সবখানে আমার লোক আছে আমার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। কথিত আছে নেত্রকোনা থাকা কালিন তিনি সরকারি এসি গাড়ি যোগে শেরপুর থেকে নেত্রকোনায় অফিসে যাতায়াত করতেন তারপর ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনায় সরকারি এসি গাড়ী যোগে যাতায়ত করত।

নেত্রকোনা থাকা কালিন একই কায়দায় উপজেলা হতে অতিরিক্ত সম্মানি ভাতা আদায় বদলী আতংকের মাধ্যমে অর্থ আদায় জেলা কার্যালয়ে ভূয়া প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের আত্মসাৎ। নেত্রকোনা জেলার যুব উন্নয়ন অফিসার প্রশিক্ষক অফিস সহকারীসহ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলে তার দুনীতি তথ্য বেরিয়ে আসবে। যানবাহন প্রকল্প ইমপ্যাক্ট প্রকল্পের এবং রাজস্ব খাতে ভূয়া বিল ভাউচারের মধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গতকাল দুটি অভিযোগ যুব সচিব বরাবরে জমা হয়েছে। ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিডি হারুন অর রশিদের কাছে জানতে বার বার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |